কিন্তু শত চেষ্টা করেও মুজিবের মুখ থেকে
‘স্বাধীনতা’কথাটি বের
করতে পারেনি সংগ্রামী ছাত্ররা। =======>>>
সত্তরের নির্বাচনে শেখ মুজিবুর
রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামীলীগ
পূর্বপাকিস্তানে
একক সংখ্যাগরিষ্টতা লাভ
করে পাকিস্তানের ক্ষমতা লাভের দাবীদার হন।
অন্যদিকে পশ্চিম
পাকিস্তানে বিজয়ী পিপলস পার্টির
জুলফিকার আলী ভুট্টোও
ক্ষমতা দাবী করেন। সামরিক প্রশাসক
প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ৩ মার্চ ১৯৭১ ঢাকায় গণপরিষদের
অধিবেশন ডাকেন, পরে তা স্থগিত করেন।
ক্ষমতা হস্তান্তরের এ টালবাহানায়
বাংলার মুক্তিকামী জনতা ফুঁসে উঠে।
শেখ মুজিব ৭ মার্চ ঢাকার
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জনসভায় পাক সরকারের প্রতি চরম
হুঁশিয়ারী উচ্চারন করেন।
ক্ষমতা হস্তান্তেরের প্রশ্নে
আলোচনার জন্য ইয়াহিয়া ঢাকা এলেন
এবং ১৭ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ অবধি
মুজিবের সাথে দাফায় দফায় আলোচনা করলেন। অন্যদিকে,ছাত্রসংগ্রাম পরিষদ ও
সংগ্রামী জনতার গণআন্দোলন,
স্বাধীনতার নানাবিধ প্রস্তুতি, স্বাধীন
বাংলার পতাকা উত্তোলন সব মিলিয়ে
পাকিস্তান বিভক্তির দিকে এগিয়ে যায়।
মুজিবকে সামনে রেখে বাংলার মানুষ স্বাধীনতা অর্জনের স্বপ্ন দেখেছিলো।
কিন্তু শত চেষ্টা করেও মুজিবের মুখ থেকে
‘স্বাধীনতা’কথাটি বের
করতে পারেনি সংগ্রামী ছাত্ররা। তিনি ইয়াহিয়ার আলোচনার
ফাঁদে পা দিলেন। অন্যদিকে আলোচনার
আড়ালে
চলতে থাকে ইয়াহিয়ার সামরিক প্রস্তুতি।
২৫ মার্চ রাতে নিরস্ত্র জনতার উপর
সামরিক আঘাতে আক্রান্ত জাতি সহসাই ঘুরে দাড়ায় – শুরু হয় প্রতিরোধ।
প্রথমে চট্রগ্রাম
সেনানিবাসে পরে কালুরঘাট রেডিও
থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা
ও যুদ্ধের ঘোষণা আসে। দেশ
জড়িয়ে পড়ে সর্বাত্মক যুদ্ধে। ভারত এ যুদ্ধে সরাসরি সামিল হয় ৩
ডিসেম্বরে, যার ১০ দিনের মধ্যেই যুদ্ধের
ফলাফল নির্ধারিত হয়ে যায়। অথচ, ২৫
মার্চ শেখ মুজিবের আটকের পূর্ব মুহুর্ত
পর্যন্ত
পাকিস্তান কাঠামোর আওতায় আলোচনার মাধ্যমে শান্তিপূর্ন পন্থায় ক্ষমতা
প্রাপ্তিই ছিলো আওয়ামীগের একমাত্র
লক্ষ্য। মুজিব-ইয়াহিয়া আলোচনার সিদ্ধান্ত
অনুযায়ী ক্ষমতা হস্তান্তরের
চুক্তি সম্পাদনের জন্য
২৫ মার্চ ইয়াহিয়ার প্রতিনিধি এমএএম
আহসানের কাছ থেকে শেখ মুজিবের
প্রতিনিধি ডঃ কামালের নিকট একটি ফোন আসার
কথা ছিল। কিন্তু আসে নি।
ঐ কাঙ্খিত ফোনটি এলে হয়ত পাকিস্তানের
ক্ষমতা পেতেন মুজিব,
কিন্তু বাংলার মানুষ আজও পেত
না ‘স্বাধীনতা।’ ইয়াহিয়া খান বাংলার
স্বাধীনতাকামী মানুষকে শায়েস্তা করার
জন্য লেলিয়ে দিলেন সেনা।
আর তার প্রতিক্রিয়াজনিত উদ্ভুত
পরিস্থিতিতে শেষ অবধি
পাকিস্তান ভেঙ্গে জন্ম নেয়- ‘বাংলাদেশ।’
LINK
‘স্বাধীনতা’কথাটি বের
করতে পারেনি সংগ্রামী ছাত্ররা। =======>>>
সত্তরের নির্বাচনে শেখ মুজিবুর
রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামীলীগ
পূর্বপাকিস্তানে
একক সংখ্যাগরিষ্টতা লাভ
করে পাকিস্তানের ক্ষমতা লাভের দাবীদার হন।
অন্যদিকে পশ্চিম
পাকিস্তানে বিজয়ী পিপলস পার্টির
জুলফিকার আলী ভুট্টোও
ক্ষমতা দাবী করেন। সামরিক প্রশাসক
প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ৩ মার্চ ১৯৭১ ঢাকায় গণপরিষদের
অধিবেশন ডাকেন, পরে তা স্থগিত করেন।
ক্ষমতা হস্তান্তরের এ টালবাহানায়
বাংলার মুক্তিকামী জনতা ফুঁসে উঠে।
শেখ মুজিব ৭ মার্চ ঢাকার
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জনসভায় পাক সরকারের প্রতি চরম
হুঁশিয়ারী উচ্চারন করেন।
ক্ষমতা হস্তান্তেরের প্রশ্নে
আলোচনার জন্য ইয়াহিয়া ঢাকা এলেন
এবং ১৭ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ অবধি
মুজিবের সাথে দাফায় দফায় আলোচনা করলেন। অন্যদিকে,ছাত্রসংগ্রাম পরিষদ ও
সংগ্রামী জনতার গণআন্দোলন,
স্বাধীনতার নানাবিধ প্রস্তুতি, স্বাধীন
বাংলার পতাকা উত্তোলন সব মিলিয়ে
পাকিস্তান বিভক্তির দিকে এগিয়ে যায়।
মুজিবকে সামনে রেখে বাংলার মানুষ স্বাধীনতা অর্জনের স্বপ্ন দেখেছিলো।
কিন্তু শত চেষ্টা করেও মুজিবের মুখ থেকে
‘স্বাধীনতা’কথাটি বের
করতে পারেনি সংগ্রামী ছাত্ররা। তিনি ইয়াহিয়ার আলোচনার
ফাঁদে পা দিলেন। অন্যদিকে আলোচনার
আড়ালে
চলতে থাকে ইয়াহিয়ার সামরিক প্রস্তুতি।
২৫ মার্চ রাতে নিরস্ত্র জনতার উপর
সামরিক আঘাতে আক্রান্ত জাতি সহসাই ঘুরে দাড়ায় – শুরু হয় প্রতিরোধ।
প্রথমে চট্রগ্রাম
সেনানিবাসে পরে কালুরঘাট রেডিও
থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা
ও যুদ্ধের ঘোষণা আসে। দেশ
জড়িয়ে পড়ে সর্বাত্মক যুদ্ধে। ভারত এ যুদ্ধে সরাসরি সামিল হয় ৩
ডিসেম্বরে, যার ১০ দিনের মধ্যেই যুদ্ধের
ফলাফল নির্ধারিত হয়ে যায়। অথচ, ২৫
মার্চ শেখ মুজিবের আটকের পূর্ব মুহুর্ত
পর্যন্ত
পাকিস্তান কাঠামোর আওতায় আলোচনার মাধ্যমে শান্তিপূর্ন পন্থায় ক্ষমতা
প্রাপ্তিই ছিলো আওয়ামীগের একমাত্র
লক্ষ্য। মুজিব-ইয়াহিয়া আলোচনার সিদ্ধান্ত
অনুযায়ী ক্ষমতা হস্তান্তরের
চুক্তি সম্পাদনের জন্য
২৫ মার্চ ইয়াহিয়ার প্রতিনিধি এমএএম
আহসানের কাছ থেকে শেখ মুজিবের
প্রতিনিধি ডঃ কামালের নিকট একটি ফোন আসার
কথা ছিল। কিন্তু আসে নি।
ঐ কাঙ্খিত ফোনটি এলে হয়ত পাকিস্তানের
ক্ষমতা পেতেন মুজিব,
কিন্তু বাংলার মানুষ আজও পেত
না ‘স্বাধীনতা।’ ইয়াহিয়া খান বাংলার
স্বাধীনতাকামী মানুষকে শায়েস্তা করার
জন্য লেলিয়ে দিলেন সেনা।
আর তার প্রতিক্রিয়াজনিত উদ্ভুত
পরিস্থিতিতে শেষ অবধি
পাকিস্তান ভেঙ্গে জন্ম নেয়- ‘বাংলাদেশ।’
LINK
No comments:
Post a Comment