Farabi Post ===>> Link ( Post of Farabi Shafiur Rahman )
গত কয়েকদিন ধরে হিন্দু ধর্ম ভিত্তিক বিভিন্ন পেইজে আমাকে নিয়ে চরম বিষোদগার করা হয়েছে। আমি নাকি হিন্দু ধর্ম নিয়ে অনেক আজেবাজে কথা বলেছি, আমার লেখা নোট ব্লগ ও status এ হিন্দুদের দেবদেবীদের কে নাকি আমি অনেক অপমান করেছি। হিন্দুরা আমার যে কথাগুলিতে সবচেয়ে বেশী মনঃক্ষুণ্ণ হয়েছে তা হল আমি কেন হিন্দুদের মা কালী কে ডাকাতদের দেবী বলেছি। হ্যা মা কালী কে কেন আমি ডাকাতদের দেবী বলেছি তা এখন আমি বিশ্লেষন করছি। সুলতানি আমল থেকেই ঠগী নামক একটি গোষ্ঠী ভারতে ছিল। ঠগীরা ছিল ভারতীয় খুনি কাল্ট (Cult); ঠগীরা যত মানুষ হত্যা করেছিল পৃথিবীর কোনও সংগঠিত খুনি কাল্ট এত নিরীহ মানুষ হত্যা করেনি। কেবল ১৮৩০ সালেই ঠগীরা প্রায় ৩০,০০০ মানুষ কে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে; তারপর সেইসব মৃতদেহ ঠগীরা উৎসর্গ করত তাদের দেবী কালীকে। ঠগীরা ছিল আদিম কালী উপাসক গোষ্ঠী। বাংলায় ঠগীরা কালীকে ভবানী বলে ডাকত। ঠগীরা কেবল সনাতন ধর্মেরই অনুসরন করত। ঠগীরা বংশপরম্পরায় খুন ও দস্যুবৃত্তি করত। ছোটবেলা থেকেই ঠগী পিতা ছেলেকে শিখাত কীভাবে শ্বাসরোধ করে ফাঁস দিয়ে মানুষ হত্যা করতে হয়। ঠগী বালকের শিক্ষা শুরু হত দশ বছর বয়েসে । তখন সে লুকিয়ে হত্যাকান্ড দেখত । বয়স ১৮ হলে সে মানুষ হত্যার অনুমতি পেত। সাধারণত শক্ত কাপড়ের তৈরি হলুদ রঙের রুমাল গলায় ফাঁস লাগিয়ে পেঁচিয়ে মানুষ হত্যা করা হত। হলদে রুমাল থাকত ঠগীদের কোমড়ে । কেন ফাঁস দিয়ে হত্যা? কেননা, কালীর আদেশে রক্তপাত নিষিদ্ধ ! ঠগীদের আদি পিতাই নাকি কালীর কাছে শিখেছিল ফাঁস দিয়ে হত্যার রক্তপাতহীন পদ্ধতি ! মৃতদেহ উৎসর্গ করা হত কালীকে, কেবল লুঠের মাল ভাগ করে নিত ঠগীরা। এজন্যই তারা ছিল বিশেষ একটি কাল্ট বা উপাসক সম্প্রদায়। অন্য ধর্ম থেকেও কেউ এই ঠগী গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত হতে পারত। তবে তখন তাকে হিন্দু ধর্মে দীক্ষিত হয়ে প্রথমেই মা কালীর পূজা করতে হত। তারপর সে ঠগীগিরী বা দস্যুবৃত্তি শুরু করতে পারত। ১২৯০ সাল থেকে শুরু করে ১৮৪০ সাল পর্যন্ত এই ঠগীরা প্রায় ২০ লক্ষ মানুষ কে হত্যা করেছিল যারা সবাই ছিল পথচারী। দুঃখজনক হলেও সত্য এই ২০ লাখ মানুষ কে হত্যা করা হয়েছিল মা কালীর নামে। এই চরম বর্বর নিষ্ঠুর সম্প্রদায় ছিল একনিষ্ঠ মা কালীর উপাসক। ঠগীরা নিজেদের কে মা কালীর সন্তান বলে পরিচয় দিত। ভারতবর্ষের কালী সাধকদের একটি বিরাট অংশই কালীসাধনার তান্ত্রিক ব্যাখ্যার বশেই খুনি হয়ে উঠছিল। আর তারাই ছিল ঠগী। ঠগীরা ব্যবসায়ী তীর্থযাত্রীর ছদ্মবেশে ভ্রমন করত। এদেরই লোকজন গোপনে বাজার কিংবা সরাইখানা থেকে পথযাত্রীদের সম্বন্ধে খুঁটিনাটি তথ্য যোগার করত। তারপরে যাত্রীদের সঙ্গে মিশে যেত। যাত্রাবিরতিতে রাতের বেলায় তারা হত্যাকান্ড ঘটাত। যদি ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের কে তারা পেত তাইলে তারা তাদের কে মা কালীর সামনে নিয়ে এসে নরবলী দিত। অর্থ্যাৎ বীভৎস এক অবস্থা।
সুলতানী আমলেই ঠগীদের নির্মূল করতে মুসলমান শাসকরা চেষ্টা করেন। ১৩৫৬ সালে ঐতিহাসিক জিয়াউদ্দীন বারানি “ফিরোজ শাহর ইতিহাস” গ্রন্থে লিখেছেন: ‘...উক্ত সুলতানের শাসনামলে (১২৯০) কয়েকজন ঠগীকে দিল্লিতে আনীত হইয়াছিল এবং উক্ত ভ্রাতৃসংঘের একজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করিয়া আরও সহস্র ঠগীকে আটক করা হয়। সুলতান তাহাদের হত্যার নির্দেশ দেন। তবে ঠগীদের ব্যাপারটা যেহেতু হিন্দু ধর্মের সাথে সম্পৃক্ত ছিল তাই মুসলমান শাসকরা ঠগীদের কে ধর্মীয় কারনে পুরাপুরি নিবৃত্ত করতে পারেন নি। ঠিক যেমনটি বাদশাহ হুমায়ন সতীদাহ প্রথা বন্ধ করতে চাইলেও শুধুমাত্র ধর্মীয় কারনে পারেন নি।
যাই হোক ব্রিটিশ সরকার ঠগীদের নিমূর্ল করার উদ্যোগ গ্রহন করে। উইলিয়াম শ্লিমান কে ব্রিটিশ সরকার ঠগীদের নিমূর্ল করার দায়িত্ব দেয়। ১৮২২ সালে উইলিয়াম শ্লিমান বেঙ্গল আর্মির অফিসার ছিলেন। পরে তিনি সিভিল সার্ভিসে যোগ দেন; তাকেই গর্ভনর জেনারেল লর্ড বেনটিংক শ্বাসরুদ্ধকারী ঠগীদের নির্মূল করার নির্দেশ দেন। উইলিয়াম শ্লিমান অত্যন্ত বিচক্ষণ ব্যাক্তি ছিলেন। চারটি ভারতীয় ভাষা জানতেন তিনি। উইলিয়াম শ্লিমানই সর্বপ্রথম ঠগীদের কার্যপ্রনালী সম্বন্ধে আঁচ করতে পারেন। তিনি জানতেন ঠগীদের দমন করা সহজ না। কেননা, অন্যান্য দুস্কৃতিকারীদের থেকে ঠগীদের আলাদা করা যাচ্ছিল না। তাছাড়া ঠগীরা সুকৌশলে তাদের অপরাধ ঢেকে রাখছিল। ঠগী মানেই তো ঠগ; তারা নিপুন ছলনাকারী। উইলিয়াম শ্লিমান ঠগীদের কাজকর্ম জানতে গুপ্ত চর নিয়োগ করেন, গঠন করেন দৃঢ় প্রতিজ্ঞ পুলিশ ফোর্স (সম্ভবত র্যাব এর মত), বিশেষ ট্রাইবুনাল ও দ্রুত বিচার আদালত গঠন করেন।
ঠগী সর্দার বেহরাম ছিল ক্রমিক খুনি (সিরিয়াল কিলার); সে ১৭৯০ থেকে ১৮৩০ সাল এর মধ্যে ৯৩১ টি খুন করে! তাকে গ্রেফতার করার পর জিজ্ঞেস করা হয়েছিল এতগুলি মানুষ খুন করার জন্য তার অনুশোচনা হয় কি না ? উত্তরে বেহরাম নির্বিকার কন্ঠে বলেছিল, মা কালীর নির্দেশে মানুষ হত্যা করতাম, তাই কিসের আবার আক্ষেপ !
হলিউডি মুভি ‘ইন্ডিয়ানা জোনস অ্যান্ড দি টেমপল অভ ডুমস’ এ ১৮ শতকের কালী উপাসক ঠগীদের দেখানো হয়েছে। ছবিটি সে কারণে সাময়িকভাবে ভারতে নিষিদ্ধও করা হয়েছিল। বলিউঠের ওমরেশ পুরি সেখানে মূল ঠগী চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। যারা ঠগীদের সম্পর্কে পড়াশুনা করতে চান তারা উইকিপিডিয়ায় ঠগীদের কে নিয়ে এই নিবন্ধটা পড়তে পারেন http://en.wikipedia.org/wiki/Thuggee তাছাড়া Google এ Thuggee লিখে Search দিলেও আপনারা ঠগীদের সম্পর্কে প্রচুর তথ্য পাবেন।
এখন আপনারাই বলুন আমি যে মা কালীকে ডাকাতদের দেবী বলেছি এটা কি আমি কোন ভুল বলেছি ? এই ঠগীদের ইতিহাস কি কেউ অস্বীকার করতে পারবে। আল্লাহ সুবহানাতায়ালা হিন্দুদের কে ধ্বংস করুক যারা কিনা তাদের এই মা কালীর নাম দিয়ে ২০ লাখ নিরীহ পথচারীকে হত্যা করেছিল। মানব জাতির কোন সদস্য হিসাবে হিন্দুদের কে আমার ঘৃনা করতেও ঘৃনা হয়।
বাংলায় ঠগীরা কালীকে ভবানী বলে ডাকত
গত কয়েকদিন ধরে হিন্দু ধর্ম ভিত্তিক বিভিন্ন পেইজে আমাকে নিয়ে চরম বিষোদগার করা হয়েছে। আমি নাকি হিন্দু ধর্ম নিয়ে অনেক আজেবাজে কথা বলেছি, আমার লেখা নোট ব্লগ ও status এ হিন্দুদের দেবদেবীদের কে নাকি আমি অনেক অপমান করেছি। হিন্দুরা আমার যে কথাগুলিতে সবচেয়ে বেশী মনঃক্ষুণ্ণ হয়েছে তা হল আমি কেন হিন্দুদের মা কালী কে ডাকাতদের দেবী বলেছি। হ্যা মা কালী কে কেন আমি ডাকাতদের দেবী বলেছি তা এখন আমি বিশ্লেষন করছি। সুলতানি আমল থেকেই ঠগী নামক একটি গোষ্ঠী ভারতে ছিল। ঠগীরা ছিল ভারতীয় খুনি কাল্ট (Cult); ঠগীরা যত মানুষ হত্যা করেছিল পৃথিবীর কোনও সংগঠিত খুনি কাল্ট এত নিরীহ মানুষ হত্যা করেনি। কেবল ১৮৩০ সালেই ঠগীরা প্রায় ৩০,০০০ মানুষ কে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে; তারপর সেইসব মৃতদেহ ঠগীরা উৎসর্গ করত তাদের দেবী কালীকে। ঠগীরা ছিল আদিম কালী উপাসক গোষ্ঠী। বাংলায় ঠগীরা কালীকে ভবানী বলে ডাকত। ঠগীরা কেবল সনাতন ধর্মেরই অনুসরন করত। ঠগীরা বংশপরম্পরায় খুন ও দস্যুবৃত্তি করত। ছোটবেলা থেকেই ঠগী পিতা ছেলেকে শিখাত কীভাবে শ্বাসরোধ করে ফাঁস দিয়ে মানুষ হত্যা করতে হয়। ঠগী বালকের শিক্ষা শুরু হত দশ বছর বয়েসে । তখন সে লুকিয়ে হত্যাকান্ড দেখত । বয়স ১৮ হলে সে মানুষ হত্যার অনুমতি পেত। সাধারণত শক্ত কাপড়ের তৈরি হলুদ রঙের রুমাল গলায় ফাঁস লাগিয়ে পেঁচিয়ে মানুষ হত্যা করা হত। হলদে রুমাল থাকত ঠগীদের কোমড়ে । কেন ফাঁস দিয়ে হত্যা? কেননা, কালীর আদেশে রক্তপাত নিষিদ্ধ ! ঠগীদের আদি পিতাই নাকি কালীর কাছে শিখেছিল ফাঁস দিয়ে হত্যার রক্তপাতহীন পদ্ধতি ! মৃতদেহ উৎসর্গ করা হত কালীকে, কেবল লুঠের মাল ভাগ করে নিত ঠগীরা। এজন্যই তারা ছিল বিশেষ একটি কাল্ট বা উপাসক সম্প্রদায়। অন্য ধর্ম থেকেও কেউ এই ঠগী গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত হতে পারত। তবে তখন তাকে হিন্দু ধর্মে দীক্ষিত হয়ে প্রথমেই মা কালীর পূজা করতে হত। তারপর সে ঠগীগিরী বা দস্যুবৃত্তি শুরু করতে পারত। ১২৯০ সাল থেকে শুরু করে ১৮৪০ সাল পর্যন্ত এই ঠগীরা প্রায় ২০ লক্ষ মানুষ কে হত্যা করেছিল যারা সবাই ছিল পথচারী। দুঃখজনক হলেও সত্য এই ২০ লাখ মানুষ কে হত্যা করা হয়েছিল মা কালীর নামে। এই চরম বর্বর নিষ্ঠুর সম্প্রদায় ছিল একনিষ্ঠ মা কালীর উপাসক। ঠগীরা নিজেদের কে মা কালীর সন্তান বলে পরিচয় দিত। ভারতবর্ষের কালী সাধকদের একটি বিরাট অংশই কালীসাধনার তান্ত্রিক ব্যাখ্যার বশেই খুনি হয়ে উঠছিল। আর তারাই ছিল ঠগী। ঠগীরা ব্যবসায়ী তীর্থযাত্রীর ছদ্মবেশে ভ্রমন করত। এদেরই লোকজন গোপনে বাজার কিংবা সরাইখানা থেকে পথযাত্রীদের সম্বন্ধে খুঁটিনাটি তথ্য যোগার করত। তারপরে যাত্রীদের সঙ্গে মিশে যেত। যাত্রাবিরতিতে রাতের বেলায় তারা হত্যাকান্ড ঘটাত। যদি ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের কে তারা পেত তাইলে তারা তাদের কে মা কালীর সামনে নিয়ে এসে নরবলী দিত। অর্থ্যাৎ বীভৎস এক অবস্থা।
সুলতানী আমলেই ঠগীদের নির্মূল করতে মুসলমান শাসকরা চেষ্টা করেন। ১৩৫৬ সালে ঐতিহাসিক জিয়াউদ্দীন বারানি “ফিরোজ শাহর ইতিহাস” গ্রন্থে লিখেছেন: ‘...উক্ত সুলতানের শাসনামলে (১২৯০) কয়েকজন ঠগীকে দিল্লিতে আনীত হইয়াছিল এবং উক্ত ভ্রাতৃসংঘের একজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করিয়া আরও সহস্র ঠগীকে আটক করা হয়। সুলতান তাহাদের হত্যার নির্দেশ দেন। তবে ঠগীদের ব্যাপারটা যেহেতু হিন্দু ধর্মের সাথে সম্পৃক্ত ছিল তাই মুসলমান শাসকরা ঠগীদের কে ধর্মীয় কারনে পুরাপুরি নিবৃত্ত করতে পারেন নি। ঠিক যেমনটি বাদশাহ হুমায়ন সতীদাহ প্রথা বন্ধ করতে চাইলেও শুধুমাত্র ধর্মীয় কারনে পারেন নি।
যাই হোক ব্রিটিশ সরকার ঠগীদের নিমূর্ল করার উদ্যোগ গ্রহন করে। উইলিয়াম শ্লিমান কে ব্রিটিশ সরকার ঠগীদের নিমূর্ল করার দায়িত্ব দেয়। ১৮২২ সালে উইলিয়াম শ্লিমান বেঙ্গল আর্মির অফিসার ছিলেন। পরে তিনি সিভিল সার্ভিসে যোগ দেন; তাকেই গর্ভনর জেনারেল লর্ড বেনটিংক শ্বাসরুদ্ধকারী ঠগীদের নির্মূল করার নির্দেশ দেন। উইলিয়াম শ্লিমান অত্যন্ত বিচক্ষণ ব্যাক্তি ছিলেন। চারটি ভারতীয় ভাষা জানতেন তিনি। উইলিয়াম শ্লিমানই সর্বপ্রথম ঠগীদের কার্যপ্রনালী সম্বন্ধে আঁচ করতে পারেন। তিনি জানতেন ঠগীদের দমন করা সহজ না। কেননা, অন্যান্য দুস্কৃতিকারীদের থেকে ঠগীদের আলাদা করা যাচ্ছিল না। তাছাড়া ঠগীরা সুকৌশলে তাদের অপরাধ ঢেকে রাখছিল। ঠগী মানেই তো ঠগ; তারা নিপুন ছলনাকারী। উইলিয়াম শ্লিমান ঠগীদের কাজকর্ম জানতে গুপ্ত চর নিয়োগ করেন, গঠন করেন দৃঢ় প্রতিজ্ঞ পুলিশ ফোর্স (সম্ভবত র্যাব এর মত), বিশেষ ট্রাইবুনাল ও দ্রুত বিচার আদালত গঠন করেন।
ঠগী সর্দার বেহরাম ছিল ক্রমিক খুনি (সিরিয়াল কিলার); সে ১৭৯০ থেকে ১৮৩০ সাল এর মধ্যে ৯৩১ টি খুন করে! তাকে গ্রেফতার করার পর জিজ্ঞেস করা হয়েছিল এতগুলি মানুষ খুন করার জন্য তার অনুশোচনা হয় কি না ? উত্তরে বেহরাম নির্বিকার কন্ঠে বলেছিল, মা কালীর নির্দেশে মানুষ হত্যা করতাম, তাই কিসের আবার আক্ষেপ !
হলিউডি মুভি ‘ইন্ডিয়ানা জোনস অ্যান্ড দি টেমপল অভ ডুমস’ এ ১৮ শতকের কালী উপাসক ঠগীদের দেখানো হয়েছে। ছবিটি সে কারণে সাময়িকভাবে ভারতে নিষিদ্ধও করা হয়েছিল। বলিউঠের ওমরেশ পুরি সেখানে মূল ঠগী চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। যারা ঠগীদের সম্পর্কে পড়াশুনা করতে চান তারা উইকিপিডিয়ায় ঠগীদের কে নিয়ে এই নিবন্ধটা পড়তে পারেন http://en.wikipedia.org/wiki/Thuggee তাছাড়া Google এ Thuggee লিখে Search দিলেও আপনারা ঠগীদের সম্পর্কে প্রচুর তথ্য পাবেন।
এখন আপনারাই বলুন আমি যে মা কালীকে ডাকাতদের দেবী বলেছি এটা কি আমি কোন ভুল বলেছি ? এই ঠগীদের ইতিহাস কি কেউ অস্বীকার করতে পারবে। আল্লাহ সুবহানাতায়ালা হিন্দুদের কে ধ্বংস করুক যারা কিনা তাদের এই মা কালীর নাম দিয়ে ২০ লাখ নিরীহ পথচারীকে হত্যা করেছিল। মানব জাতির কোন সদস্য হিসাবে হিন্দুদের কে আমার ঘৃনা করতেও ঘৃনা হয়।
No comments:
Post a Comment