Saturday, June 10, 2017

ঈদ নিয়ে বাংলা সাহিত্যে লেখালেখি ...

Source LINK 

ঈদ নিয়ে বাংলা সাহিত্যে কম লেখালেখি হয়নি। হিন্দু-মুসলমান নির্বিশেষ কবি-সাহিত্যিকরা নানাভাবে ঈদকে উপস্থাপন করেছেন তাদের লেখনিতে। বিশেষ করে ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে এবং বিংশ শতাব্দীর সূচনালগ্ন থেকে মুসলিম কবি সাহিত্যিকরা বাংলা সাহিত্যে ইসলামী পরিবেশ সৃষ্টিতে বিশেষ তৎপর হয়ে ওঠেন। ইসলামী আদর্শ ও ঐতিহ্যের কথা নিয়ে এ সময় কিছু পত্র-পত্রিকাও প্রকাশিত হতে দেখা যায়। এর ফলে ইসলামী ঐতিহ্য ও চেতনার সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে বাংলা ভাষায় প্রাণস্পন্দন জেগে ওঠে। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের নব রূপায়ণ ঘটে। ঈদ নিয়ে বিংশ শতাব্দীর আগে ব্যাপক রচনার হদিস পাওয়া না গেলেও ঈদ একাবারে অনুপস্থিত থাকেনি। বরং ঈদের প্রাণবন্ত আকর্ষণ মুসলিম জনজীবনে এনে দিয়েছে নানা বৈচিত্র্য। ঈদ তাই মুসলিম মানসে আনন্দের প্রতীক রূপে প্রতিভাত হয়েছে। ধর্মভিত্তিক প্রত্যেক জাতিরই নিজস্ব কিছু আনন্দ-উৎসব রয়েছে। এসব আনন্দ-উৎসবের সাথে দেশের সংস্কৃতির একটি নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। মুসলিম জাতির প্রধান দুটি উৎসব ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আযহা। এর মধ্যে বিশ্বভ্রাতৃত্বের শ্রেষ্ঠ নিদর্শন ও আনন্দ উৎসব হচ্ছে ঈদুল ফিতর। মহা বরকতের মাস বিদায় নিয়ে শাওয়ালের একফালি বাঁকা চাঁদ ঈদুল ফিতরের বার্তা নিয়ে আসে। ধর্মীয় জীবন ও কর্মজীবন পরস্পর ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কযুক্ত। আর এর পুরোপুরি প্রতিফলন ফুটে ওঠে ঈদ উৎসব পালনের মধ্য দিয়ে। মানুষের মধ্যে একটি মধুর সম্প্রীতি ও সামাজিকতা নির্মিত হয় এর মাধ্যমে। বস্তুত, এই ঈদ উৎসব মহান আল্লাহর এক বিশেষ উপঢৌকন হিসেবে আমাদের কাছে ধরা দেয়। ইসলাম ফিতরাতের ধর্ম- এক স্বভাবসুন্দর ধর্ম। সাম্য ও মৈত্রীর বাণী নিয়ে ইসলাম এসেছে পৃথিবীতে। এখানে আশরাফ-আতরাফ, আমির-ফকির, ধনী-নির্ধনে যেমন ভেদাভেদ নেই, তেমনি উচ্ছৃঙ্খলতার কোন স্থান নেই। ঈদের মিলন বা আনন্দ-উৎসবে তারই শিক্ষা ও বৈশিষ্ট্য আমরা খুঁজে পাই।
বাঙালি কবিসাহিত্যিকদের মধ্যে সৈয়দ এমদাদ আলী সম্পাদিত ‘নবনূর’ পত্রিকায় সম্ভবত প্রথম ঈদসংখ্যা প্রকাশ পায়। পর পর তিন বছরই নবনূর-এ ঈদ বিষয়ক লেখা প্রকাশিত হতে থাকে। আর এ পত্রিকায় কবি কায়কোবাদ, বেগম রোকেয়া ও সম্পাদক স্বয়ং এ তিনজন ঈদসংক্রান্ত কবিতা ও প্রবন্ধ লেখেন ১৯০৩ সালে। ১৯০৪ সালে সম্পাদক সৈয়দ এমদাদ আলীর ‘ঈদ’ শীর্ষক একটি কবিতা নবনূর-এ প্রকাশিত হয় এবং খুব সম্ভবত এটি মুসলিম বাংলা সাহিত্যে প্রথম ঈদ-কবিতা : ‘কুহেলী তিমির সরায়ে দূরে/ তরুণ অরুণ উঠিছে ধীরে/ রাঙিয়ে প্রাত তরুণ শিরে/ আজ কি হর্ষ ভরে/ আজি প্রভাতের মৃদুল বায়ে/ রঙ্গে নাচিয়া যেন করে যায়/ মুসলিম জাহান আজি একতায় দেখো কত বল ধরে।’ ঈদ যে কেবল মুসলমানদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, এ চেতনা কবি কায়কোবাদের ঈদ বিষয়ক কবিতায় সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে : ‘এই ঈদ বিধাতার কি যে শুভ উদ্দেশ্য মহান/ হয় সিদ্ধ, বোঝে না তা স্বার্থপর মানব সন্তান/এ নয় শুধু ভবে আনন্দ উৎসব ধূলাখেলা/এ শুধু জাতিয় পুণ্য মিলনের এক মহাখেলা/ ভুলে যাও হিংসা দ্বেষ, দলাদলি শত্রুতা ভীষণ/মোস্লেম জগতে আজি বিশ্বব্যাপী মহা সম্মিলন।’ ‘ঈদ আবাহন’ নামে কায়কোবাদ আরও দুটি কবিতা লিখেছেন। একটি তার ‘অশ্রুমালা’ কাব্যে, অন্যটি ‘অমিয় ধারা’ গ্রন্থভুক্ত। দুটি কবিতাতেই ঈদ উপলক্ষে কবি ঘুমন্ত মুসলমানদের জাগরণের বাণী শুনিয়েছেন। অমিয় ধারা-র ‘ঈদ আবাহন’ কবিতায় তিনি লিখেছেন, ‘আজি এ ঈদের দিনে/এ পবিত্র শুভক্ষণে/এসো ভাই এক প্রাণে হৃদয় বাঁধিয়া রক্ষিতে এস্লাম ধর্ম/ সাধিতে আপন কর্ম/এসো ভাই কর্মক্ষেত্রে এসো হে ছুটিয়া।’ ‘ঈদ’ নামে ছোটদের কবিতাও তিনি ‘মন্দাকিনী ধারা’য় লিখেছেন : ‘মোস্লেমের আজ ঈদ শুভময়/ আজ মিলনের দিন/ গলায় গলায় মাখামাখি/ আমীর-ফকির/ আজ সবারই হস্তপুত ধোয়া স্বরগ নীরে/ তাইতো চুমর ভীড় লেগেছে নম্রনত শিরে।’ কবি শেখ ফজলল করিম তার সম্পাদিত ‘বাসনা’ পত্রিকায় আশ্বিন ১৩১৫ সংখ্যায় ‘ঈদ’ কবিতায় অলস-অধম মুসলিম সমাজকে মহাজাগরণের বাণী শুনিয়েছেন এভাবে : ‘অলস-অধম মোরা এখনও কি অবহেলে যাব রসাতলে ... জীবন প্রভাত আজি বিস্ময়ে দেখরে চাহি মহাজাগরণ/ সাহসে বাঁধিয়া বুক হও পথে অগ্রসর নতুবা মরণ।’ কবি নজরুলের অব্যবহিত দুই পূর্বসূরি কবি শাহাদাৎ হোসেন ও কবি গোলাম মোস্তফা ঈদ বিষয়ক কবিতা রচনা করে বাংলা সাহিত্যের শ্রীবৃদ্ধি সাধন করেছেন। শাহাদাৎ হোসেন ‘ঈদুল ফিতর’ কবিতায় লিখেছেন : ‘কোথা মক্কা, মোয়াজ্জেমা, মদিনা কোথায়/ প্রাণকেন্দ্র এ মহা সাম্যের/ কোথা আমি ভারতের প্রান্ততটে ক্ষুদ্র ঈদগাহে/... সাম্যের দিশারী আমি, আমি মুসলমান/ দেশ-কাল-পাত্র মোর সব একাকার। বহুত্বে একক আমি/ আত্মার আত্মীয় মোর দুনিয়া জাহান।’
‘বিশ্বনবী’ রচয়িতা কবি গোলাম মোস্তফার ‘ঈদ উৎসব’ নামক একটি গীতিময় কবিতা মাসিক ‘সওগাত’-এর ভাদ্র ১৩২৬ সংখ্যায় প্রকাশিত হয় : ‘আজই সকল ধরা মাঝে বিরাট মানবতা/ মানবতা মূরতি লোভিয়াছে হর্ষে। আজিকে প্রাণে প্রাণে যে ভাব জাগিয়েছে, রাখতে হবে সারা বর্ষে/ এই ঈদ হোক আজ সফল ধন্য নিখিল মানবের মিলনের জন্য/ শুভচ্ছা জেগে থাক, অশুভ দূরে যাক/ খোদার শুভাশিষ পর্শে।’
ইসলাম শুধু মানুষের পারলৌকিক নয়, ইহলৌকিক মুক্তিরও একটি সত্য সুন্দর বিধান। এ চেতনার বহিঃপ্রকাশ দেখা যায় আধুনিককালে মুসলিম কবিসাহিত্যিক ও শিল্পীদের রচনায়। আর এভাবে সবচেয়ে শক্তিশালী প্রকাশ ঘটেছে নজরুল ইসলামের কাব্যে। কবি নজরুল ইসলামের ঈদের কবিতা ও গানে যেমন প্রকাশ পেয়েছে স্বতঃস্ফূর্ত আনন্দ, তেমনি প্রকাশ পেয়েছে ইসলামের মহান শিক্ষা মানবিক মূল্যবোধ ও সাম্যের কথা। মুসলিম সাহিত্যাঙ্গনে নজরুল-রচিত ঈদ বিষয়ক কবিতা ‘ঈদ মোবারক’ ১৩৩৪ সালের বৈশাখ মাসের মাসিক ‘সওগাত’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয় এবং এটি ঈদ বিষয়ক তার প্রথম কবিতা। এ কবিতায় তিনি ইসলামের সাম্য শিক্ষার পূর্ণ প্রকাশ ঘটিয়েছেন- ‘আজই ইসলামের ডঙ্কা গরজে ভরি জাহান/ নাই বড়-ছোট সকল মানুষে এক সমান/ রাজা-প্রজা নয় কারো কেহ/ ইসলাম বলে সকলের তরে মোরা সবাই/ সুখ-দুঃখ সমভাগ করে নেব সকলেই ভাই/ নাই অধিকার সঞ্চয়ের/ কারো আঁখি জলে কারো ঝাড়ে কিরে জ্বলিবে দীপ/ দুজনার হবে বুলন্দ নসিব, লাখে লাখে হবে বদনসিব? এ নহে বিধান ইসলামের।’ শুধু কবিতায় নয়, গানে, সুরে, ছন্দে নজরুল ঈদকে সর্বাধিক সমৃদ্ধ করেছেন। ঈদুল ফিতর মুসলিম চেতনার যে জাগরণের সূচনা করে তাকেই তিনি উজ্জীবিত করেছেন পথ চলার নির্দেশনা হিসেবে। নজরুল-রচিত ঈদের সম্পূর্ণতম কবিতা যেমন ‘ঈদ মোবারক’ তেমনি ঈদুল ফিতরের সম্পূর্ণতম রচিত প্রথম ইসলামী গানটি হলো- ‘ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ/ তুই আপনাকে আজ বিলিয়ে দে শোন আসমানী তাগিদ/তোর সোনা দানা বালা খানা সব রাহে লিল্লাহে/দে যাকাত, মুদ্রা, মুসলমানের আজ ভাঙাইতে নিদ/ তুই পড়বি ঈদের নামাজরে মন মহান ঈদগাহে/যে ময়দানে সব গাজী মুসলিম হয়েছে শহীদ/ আজ ভুলে যা তোর দোস্ত-দুশমন হাত মিলাও হাতে/তোর প্রেম দিয়ে কর বিশ্বনিখিল ইসলামে মুরীদ।’ নজরুলের ঈদুল ফিতরের এ আগমনি বারতা চিরন্তন রূপমাধুর্যে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে বাংলা সাহিত্যে- এ দেশের মনমানসে। নজরুলের এ গানটি ১৯৩২ সালে এইচ-এম-ভি কোম্পানির রেকর্ডে সুরশিল্পী আব্বাস উদ্দীনের কণ্ঠে গীত হলে তা তখনকার ঘুমন্ত মুসলিম সমাজে এক অভূতপূর্ব আলোড়নের সৃষ্টি করে। ঈদের আনন্দ-উদ্দীপনা নিয়ে মুসলমানদের ঘরে ঘরে জাগে এক নব উন্মাদনা। নজরুলের ঈদুল ফিতর বিষয়ক কাব্য কর্ম ১৬টির অধিক এবং তার অধিকাংশ কবিতাতেই মানবিক মূল্যবোধের চেতনা মূর্ত হয়ে উঠেছে স্বার্থকভাবে। ‘ঈদের চাঁদ’ কবিতায় কবি বলেছেন- ‘রোজা রাখার ফল ফলেছে দেখরে ঈদের চাঁদ/সেহেরী খেয়ে কাটলো রোজা আজ সেহেরাবাঁদ/ওরে বাঁধ আমামা বাঁধ।’ ঈদ মুসলিম জাহানের সার্বজনীন আনন্দ উৎসব। রমজানুল মোবারকের সাম্যবাদী কৃচ্ছ্রতা ও সংযমের মহাপরীক্ষার পর অতিক্রম করে রোজাদার লাভ করে এই ঈদ। এটা তার কাছে আল্লাহর এক বিশেষ নিয়ামত। এর সাথে জড়িত হয় জান্নাতি সুখের আমেজ। কবি তাই বলেন- ‘ঈদ এসেছে দুনিয়াতে শিরণী-বেহেস্তী/ দুশমনে আজ গলায় ধরে পাতাব ভাই দোস্তী/ যাকাত দেব, ভোগ বিলাস আজ ও বদ মন্তী/ প্রাণের তশতরীতে ভরে বিলাবো তৌহিদ চল ঈদগাহে।’ নজরুল ঈদ বিষয়ক বহু গান রচনা করেছেন। এসব গান শুধু আব্বাস উদ্দীনই নন, আব্দুল লতিফসহ অনেক শিল্পী গেয়েছেন।
নজরুল ছাড়াও ঈদ নিয়ে কবিতা লিখেছেন বহু হিন্দু-মুসলমান কবি। এছাড়া ঈদ নিয়ে প্রবন্ধ লিখেছেন অসংখ্য নিবন্ধকার। তবে নজরুলের পরে ঈদকে নিয়ে লেখা কবিতায় ইসলামী চেতনার রূপকার কবি ফররুখ আহমদের নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তিনি ঈদকে দেখেছেন নানা অনুভবের ঔজ্জ্বল্যে। ঈদের চাঁদ, রমজান, ঈদ- এসবকে তিনি জীবনের সংগ্রামী চেতনার সঙ্গে সংযুক্ত করে এক নতুন মাত্রায় তুলে ধরেছেন। তারুণ্যকে উদ্দেশ্যে করে কবি বলেছেন- ‘তোমার মৃত্যু-সমুদ্র মোহনার জীবনের আশ্বাস/তোমার জীবন রমজান সাধনার স্বপ্ন ঈদের চাঁদ।’ সাহিত্যিক মুহাম্মদ ওয়াজেদ আলী তার ‘ঈদের লেখা’ শীর্ষক প্রবন্ধে ঈদের ঈদুল ফিতরের সামাজিক অবস্থা বর্ণনা করেছেন। কবি মঈনুদ্দিন ‘সাম্যবাদী’ পত্রিকায় (বৈশাখ ১৩৩১) ‘ঈদুল ফিতর’ নামে কবিতা লিখেছেন। কবি আশরাফ আলী খানের ‘ঈদ’ শীর্ষক কবিতাটি এককালে বহুল প্রশংসিত হয়েছিল। কবিতাটি নিম্নরূপ-
‘সাঁঝের আকাশে দেখা যায় চাঁদ/ ঘরে ঘরে লাগে ধুম/ সারারাত ধরে চলে উৎসব কারো চোখে নাই ঘুম। মওলোভী কন আল্লাহর সান/ ঈদে হয় তাজা সকলের প্রাণ।’ কবি তালিম হোসেন তার ‘ঈদ মোবারক’ কবিতা লিখেছেন- ‘ঈদ মোবারক হে বন্ধু খুসির দিন/ নূতন সজ্জা, নব আনন্দ, নয়ালী চিন/প্রাণে ভবনে উৎসব করে তৃপ্তি মুখ/ আজি জাগরণে নতুন দিনের ক্ষুন্নিহীন ...।’ সাওয়ালের চাঁদকে নিয়ে সিরাজুল ইসলাম লিখেছেন- ‘সাওয়ালের চাঁদ খুসির খবর নিয়ে দুনিয়ায়/ জান্নাতী সুধা ঝরে যেন তার অপরূপ জোছনায়/ নতুন ছন্দে সে খুসির বাণী/ আকাশে-বাতাসে করে কানাকানি/ ব্যথীত ধরণী খুসিতে আবার/ ঈদের মহিমায়।’
কবি সৈয়দ আলী আহসান এই ঈদের দিনকে নিয়ে লিখেছেন- ‘এসেছে নতুন দিন/ ভয় নাই প্রিয়, দ্বারে কর করাঘাত/ সংখ্যা হরণ অভয় মন্ত্র শোন শোন কান পাতি/ বনভূমি আজ চকিত হাসিতে হঠাৎ পেয়েছে সাড়া/ সুর্মা মেখেছে আঁখির কোনায় কণ্ঠে তুলেছে গান/পঙ্গু আহত বিমর্ষ দিন হঠাৎ পেয়েছে প্রাণ।’ কবি বেগম সুফিয়া কামালের ঈদের কবিতায় ইসলামী সাম্যের আদর্শ প্রতিফলিত হয়েছে এভাবে- ‘কাল ঈদগাহে ধনী-দরিদ্র মিলবে যে বুকে বুকে/ কাল ঈদগাহে ধনীর ধনের দীনও হবে ভাগীদার/পুরাতে হইব কত দিবসের খালি অঞ্জলি তার।’
প্রাচীন থেকে আধুনিক যুগ পর্যন্ত বাংলা সাহিত্যের কবি-সাহিত্যিকরা ঈদুল ফিতর বিষয়ক রচনায় স্ব-স্ব প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন। তাদের সব ধরনের রচনার মধ্য দিয়ে মুসলিম মন ও মানসের স্বাভাবিক আশা-আকাক্সক্ষাই ব্যক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে কবি শামছুর রাহমান, সৈয়দ শামসুল হক, আল মাহমুদ, আহসান হাবীব, আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ, আবুল হাসান, আব্দুল কাদির, শাহাদাৎ হোসেন, জসীমউদ্দীন, বন্দে আলী মিয়া, আবদুল মান্নান সৈয়দ, সেকান্দার আবু জাফর, কথাশিল্পী শওকত ওসমান, শামসুদ্দিন আবুল কালাম, মোহাম্মদ নুরুল হুদা, সোহরাব পাশা, আলতাফ হোসেন, খালেদ হোসাইন ও রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ অন্যতম।
Image result for ঈদ

No comments:

Post a Comment